কোভিড-১৯ ভাইরাসের দরুন পৃথিবী যেমন থমকে আছে সাথে আমাদের জীবনের যেসব মূহুর্ত তৈরীর সম্ভাবনা ছিলো সেগুলো আজ স্তিমিত , যেখানে আমরা পুরনো সব স্মৃতি গুলো মনে নিয়ে এখনো চলমান মুহূর্তগুলো উপভোগ করছি।
যাই হউক, সবাইকে অগ্রীম ঈদের শুভেচ্ছা। করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে দেশের সবাই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উদযাপন করেন সেই দোয়াই রইলো।
ঈদুল আযহা আসলেই আমার জীবনে ঘটে যাওয়া একটা মজার কাহিনী মনে হয়ে যায়, যা আজ এই প্লার্টফর্মে শেয়ার না করলেই না, চলুন সেই গল্পে ডুব দিয়ে আসি।
তখন ২০১৫ সাল, আমি ক্লাস নাইনে পড়ি, রীতিমতো বাবা দেশের বাইরে থাকায় মা পরিবারের সব দায়িত্ব পালন করলেও টুকটাক আমারও আম্মুকে সাহায্য করা হতো।
কোরবানী ঈদের ঠিক ৪ দিন আগে আম্মু বলতেসেন এইবার তুমি তোমার খালুজানের সাথে গরু কিনতে যাবা।( বলে রাখা ভালো খালুজান আর উনার বোন আর আমরা মিলে কুরবানীর জন্য এইবার মিলিত হয়েছিলাম।)
আমরা ঠিক ঈদের ২ দিন আগে যোহরের নামাজ পরে আমাদের ওইখানে একটা এলাকায় গরু কিনার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। ঠিক সময়ে আমরা ওই এলাকায় একটা চাচীর বাড়িতে যাই, চাচীর সাথে কথা বার্তা বলে গরুটা নিয়ে নেই।
এ পর্যন্ত সব ঠিক ছিলো, বিপত্তিটা,তখনি বাঁধে যখন গরুটাকে নৌকায় তুলতে যাবো ঠিক তখন, কোনোমতেই গরুটাকে নৌকায় তুলা যাচ্ছে না, চতুষ্পদ প্রাণী হয়েও তার মালিকের প্রতি কেমন ভালোবাসা তা ওইদিন আমি ওই গরুটাকে না দেখলে বুঝতাম না। হঠাৎ নিজেকে আবিষ্কার করলাম পানির মধ্যে, চেয়ে দেখি সবাই ধরাধরি করে তুলতেসে আমাকে, ততক্ষণ আমার কোনো হুশই ছিলো না কারণ গরুটারে নৌকায় তুলতে গিয়ে রশি ধরে টান দেওয়ার,সময় গরুর হেঁচকা টানে আমি পানিতে পড়ে যাই, পানি থেকে উঠার পর আমি হাসতাছি আমার দেখাদেখি আমার খালুও হাসে উনার বোনের ছেলেও হাসতেছে তারপর এক পর্যায়ে খালু বলে উঠলেন,
বাবারে যেভাবে পানিতে পড়ছিলা যদি কিনার না হতো তাহলে আজকে একটা বড় বিপত্তি ঘটে যেতো।
সামান্য ব্যাথা পাইসিলাম।
যাই হউক বড়,কোনো রকম বিপত্তি ছাড়াই আল্লাহর রহমতে আমাদের কোরবানী দেওয়ার কার্য সম্পন্ন হয়েছিলো।
এই ছিলো আমার সাথে ঘটে যাওয়া একটা মজার মুহূর্ত।
সবাইকে আবারো ঈদের শুভেচ্ছা জানাই এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইদকে উদযাপন করুন
ধন্যবাদ সবাইকে।
সুন্দর ��
ReplyDelete